শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
এইমাত্র পাওয়া
*** নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বায়ান্নর বাংলাদেশ*** জেলা প্রতিনিধি*** ভিডিও কনটেইনসহ সিভি পাঠান।Bayanarbangladesh@gmail.com
সর্বক্ষেত্রে রাসুল (সঃ) কে আনুগত্য করা
/ ৯৭ Time View
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন

সর্বক্ষেত্রে রাসুল (সঃ) কে আনুগত্য করা
সাইফুর রহমান বাদল
রাসুলের আনুগত্য –
দ্বীন ইসলাম কতটা ব্যাপক আর কতটা পরিশুদ্ধ তা শেষ নবী (সঃ) এর বাস্তব জীবন থেকেই পরিষ্কার বুঝা যায়। তিনি আল্লার রাসূল হিসেবেই সব কাজ করতেন। মসজিদে ইমামতি করার সময় তিনি যেমন রাসূল ছিলেন, মদীনার রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় কাজ করার সময়ও তিনি রাসূলই ছিলেন। যুদ্ধের ময়দানেও তিনি রাসূল হিসেবেই ছিলেন। অর্থাৎ তিনি যত কাজকরেছেন ও যত কথা বলেছেন তা রাসূল হিসেবেই করেছেন ও বলেছেন। ধর্মীয় বিষয়ে যেমন তিনি রাসূল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি ইত্যাদি বিষয়েও রাসূল হিসেবেই সবকিছু করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর গোটা জীবনটাই ইসলামী জীবন এবং আল্লাহ্‌র দ্বীন বা আল্লাহ্‌র আনুগত্যের মধ্যে শামিল। অর্থাৎ রাসুলের জীবন যতাটা ব্যাপক দ্বীন ইসলামও ততটা ব্যাপক। রাসূলকে সব অবস্থায় পূর্ণরূপে মেনে চলাই মুসলিম জীবনের কর্তব্য। শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূলকে মেনে চললেই ইসলামী জীবন গড়ে উঠে না।

মুসলিম হবার দাবীদার হয়েও আজ যারা শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূলকে আদর্শ নেতা মেনে চলে কিন্তু রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি ব্যাপারে রাসূলের বিপরীত নীতি ও চরিত্রের লোকদেরকে নেতা মানে, তারা কালেমার বিপরীত কাজই করে মাত্র। শুধু তাই নয় এ জাতীয় লোকেরা আল্লাহকে জীবনের সবক্ষেত্রে মনিব মানতেই রাজী নয় এবং রাসূল (সঃ) কে সব বিষয়ে নেতা মানতেও তৈরী নয়। আর এরাই হলো মুসলমান নামে মুনাফিক যেমন আব্দুল্লাহ বিন উবাই রাসুলের পিছনে নামাজ পড়তো আর নেতা হিসেবে মানতো আবুজেহেলকে।

রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মানা-

বর্তমান সময়ে কতক লোক “ইসলামকে রাজনৈতিক ময়দানে টেনে আনার” বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের মতো কতক আচার অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্মই মনে করে। তারা আল্লাহ ও রাসূল (সঃ) এর উপর “১৪৪ ধারা” জারী করতে চায় যাতে মসজিদের বাইরে আল্লাহ ও রাসূলকে মানতে না হয়। প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামকেই মানতে রাজী নয়, যদিও তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ধর্ম কর্মও করে থাকে। হয়তো ইসলামের ব্যাপকতা সম্পর্কে তাঁদের ধারণা নেই। এ জাতীয় লোকদেরকে “ধর্মনিরপেক্ষ” বলা হয়। আর রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও রাসুল সঃ এর আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ধার্মিক নাই-

খুবই আশ্চর্য আর দুঃখের বিষয় হলো যে, পাকা দ্বীনদার হিসেবে সমাজে পরিচিত এক শ্রেণীর লোকও ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের মতো কথা বলে। তারা নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, তাসবীহ, তেলাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের আনুগত্য করছেন। কিন্তুআইন-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, দেশ শাসন ইত্যাদি ব্যাপারেও আল্লার কুরআন ও রাসূল (সঃ) এর সুন্নাতকে মানান চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে তারা মনেই করেন না। কারণ তারাও দ্বীনের ব্যাপকতা সম্পর্কে সজাগ নন। সে হিসেব তাদেরকেও ধর্মনিরপেক্ষ বলা চলে। কারণ তারাও ইসলামকে ধর্মীয় গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষপাতি করে চলে।

এসব ধার্মিক লোক ইসলমকে রাজনীতি বর্জিত ধর্ম মনে করে। তাঁদের নিকট রাসূল (সঃ) পরিপূর্ণ অদর্শ মানব হলে তাঁরা কিছুতেই এমন ভুল করতে পারতেন না। রাজনীতির ময়দানে কারো থাকা সম্ভব হয়না । নির্বাচনে তো কোন পক্ষকে সমর্থন করতেই হয় এছড়াও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে কোন না কোন মতামত গ্রহণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। যারা ধার্মিক হয়েও রাজনীতির ময়দানে ইসলামের পক্ষে কাজ করেন না তাদের পক্ষে নির্বচনে এবং জাতীয় ইস্যূতে অধার্মিক রাজিনৈতিক দলের খপ্পরে পড়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নাই। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একদল “ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে” বিশ্বাসী আর অন্যদল “রাজনীতি নিরপেক্ষ ধর্মে” বিশ্বাসী। রাসূল (সঃ) এর আনীত দ্বীন-ইসলামের দৃষ্টিতে উভয় দলই ভুল পথে আছেন। বর্তমানে যেটা ভুল সেটা আমরা সঠিক মনে করে আঁকড়ে ধরি আর যেটা সঠিক সেটা এড়িয়ে চলি।

লেখক – কলামিস্ট ও সাংবাদিক।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category