
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘিরে সরব ছিলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ভিসিসহ ২ জনের পদত্যাগের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কার্যক্রম, পুরোদমে পাঠদানের দাবি শিক্ষার্থীদের
ন্যাশনাল ডেস্ক:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সরব ছিলো দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলো বিদ্যাপিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। দ্বিতীয় স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার পর ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। তবে দ্রুত ভিসি নিয়োগসহ পাঠদান পুরোদমে চালুর দাবী শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের।
কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে দেশের ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী শুরু করে আন্দোলন। ধীরে ধীরে যুক্ত হতে থাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকরা। বিক্ষোভ, মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে চলে তাদের কার্যক্রম। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ছাত্রলীগসহ আওয়ামী পন্থী শিক্ষকরা। আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, মারধরসহ হল ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাদের। বন্ধ হয়ে যায় লেখাপড়া।
এসময় প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব ধরণের সহযোগিতা করেন।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপিট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকাতেও। শত শত সাধারণ মানুষ অংশ নেয় এই আন্দোলনে। সর্বশেষ সরকার পতনের মাধ্যমে সফলতা আসে তাদের আন্দোলনের।
সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি ইবির স্বাভাবিক কার্যক্রম। ভিসিসহ ২ জন পদত্যাগ করায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম। দ্রæত ভিসি নিয়োগসহ পাঠদান স্বাভাবিক করার দাবী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তারা সহমত পোষণ করে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগ দিলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবেন তারা।
উল্লেখ্য গত ১৭জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পাঠদান। সরকার পতনের পর ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ও প্রভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমঙ্গীর হোসেন ভুইয়া পদত্যাগ করার পর এখন পর্যন্ত ওই পদে কোন নিয়োগ দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।